২০২১ সালে আইসিটি খাতে ২০ লাখ কর্মসংস্থান হবে।
সুমনসেন চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি-
ডিজিটাল বাংলাদেশের লক্ষ্য অর্জনে এরই মধ্যে তথ্য-প্রযুক্তি খাতে গত ১১ বছরে ১০ লাখ তরুণ-তরুণীর কর্মসংস্থান হয়েছে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহেমদ পলক। তিনি বলেছেন, ২০২১ সালের মধ্যে আরো ১০ লাখসহ মোট ২০ লাখ কর্মসংস্থান আইটি সেক্টরে নিশ্চিত করা হবে। এ ছাড়া সাড়ে ছয় লাখ আইটি ফ্রিল্যান্সার ৩০০ মিলিয়ন ডলারের বেশি আয় করে বাংলাদেশের অর্থনীতি সমৃদ্ধ করছে।
এক ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে এসওএস চিলড্রেন্স ভিলেজেস বাংলাদেশের উদ্যোগে ‘ইয়ুথক্যান’-এর উদ্বোধন উপলক্ষে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য দেন এসওএসের ন্যাশনাল ডিরেক্টর ড. মোহাম্মদ এনামুল হক, এসওএস গ্লোবাল প্রাইভেট ম্যানেজার মি ইউ এগার, এসওএসের ইন্টারন্যাশনাল রিপ্রেজেন্টেটিভ রাজনিস জেন, এইচএসবি বাংলাদেশের সিইও মাহবুব রহমান, গ্রামীণফোনের সিইও ইয়াসির আজমানসহ অন্য কর্মকর্তারা।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, তারুণ্যের মেধা ও প্রযুক্তির শক্তিকে কাজে লাগিয়ে উন্নত দেশ গড়তে হবে। দেশের ৭০ শতাংশ জনগোষ্ঠী যাদের বয়স ৩৫ বছরের নিচে তারাই ভবিষ্যৎ উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার শক্তিশালী হাতিয়ার।
ডিজিটাল বাংলাদেশের প্রধান লক্ষ্য তরুণদের দক্ষতা ও কর্মসংস্থানে সুযোগ সৃষ্টি করা উল্লেখ করে পলক বলেন, শিশু, কিশোর ও তরুণরা প্রযুক্তিগত শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে ভবিষ্যৎ পৃথিবীর জন্য তৈরি হতে পারে সে লক্ষ্যে আইসিটি বিভাগ সারা দেশে স্কুলপর্যায়ে আট হাজার শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। উপজেলাপর্যায়ে তিন শ স্কুলে ‘স্কুল অব ফিউচার’ স্থাপন এবং সারা দেশের ৬৪টি জেলায় ২০২৫ সালের মধ্যে শেখ কামাল আইটি ইনকিউবেশন সেন্টার স্থাপন করা হবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, এসওএস ভিলেজের সদস্যদের প্রযুক্তি জ্ঞান আহরণের লক্ষ্যে শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব, স্কুল অব ফিউচার ও ইনকিউবেশন সেন্টারের কাছাকাছি সাতটি এসওএস ভিলেজের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করে দেওয়া হবে। এ ছাড়া লার্নিং অ্যান্ড আর্নিং
প্রকল্পের মাধ্যমে এসওএস ভিলেজের সদস্যদের বিনা মূল্যে প্রশিক্ষণের সুযোগ সৃষ্টি করে দেওয়া হবে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।